জাতীয় বিষয় | নাম |
---|---|
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত | আমার সোনার বাংলা |
বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা | বাংলা |
বাংলাদেশের জাতীয় ফল | কাঁঠাল |
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল | শাপলা |
বাংলাদেশের জাতীয় পশু | রয়েল বেঙ্গল টাইগার |
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি | দোয়েল |
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা | কাবাডি |
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ | ইলিশ |
বাংলাদেশের জাতীয় গাছ | আম |
বাংলাদেশের জাতীয় কবি | কাজী নজরুল ইসলাম |
বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব | বাংলা নববর্ষ |
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা | সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত |
বাংলাদেশের জাতীয় বন | সুন্দরবন |
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা | ঢাকা চিড়িয়াখানা |
বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ | সম্মিলিত প্রয়াস |
বাংলাদেশের জাতীয় লাইব্রেরী | আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা |
বাংলাদেশের জাতীয় বিমানবন্দর | হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর |
বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ | বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ |
বাংলাদেশের জাতীয় স্টেডিয়াম | বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম |
বাংলাদেশের জাতীয় পার্ক | ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান |
বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর | বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ, ঢাকা |
সংসদ ভবন বা জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্স ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ২১৫ একর জায়গার ওপর অবস্থিত। ৯ তলা বিশিষ্ট ভবনটির মূল স্থপতি লুই কান। তিনি একজন প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি। বাংলাদেশের সংসদ ভবন উপমহাদেশের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। এর স্থাপত্যশৈলী দ্বারা প্রকৃতির বিভিন্ন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
জেনে নিই
ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান
যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান
শ্রীলংকার রাষ্ট্রপ্রধান
ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধান
স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা বা পর্যায় হিসেবে সাতটি ঘটনাকে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে।
ঘটনাগুলো হলঃ
১৯৭২ এর ১৬ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হোসেন মুহাম্মাদ এরশাদ এর উদ্বোধন করেন ।
আয় চলে আয় ধুমকেতু, আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু
দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।'
কাজী নজরুল ইসলামের উপাধি ও পদক
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত ও সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে জাপানের জাতীয় পতাকা মিল রয়েছে, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে সবুজের জায়গায় জাপানীরা সাদা ব্যবহার করে। এছাড়া বাংলাদেশের পতাকায় লাল বৃত্তটি একপাশে একটু চাপানো হয়েছে যেন পতাকা যখন উড়বে তখন বৃত্তটি পতাকার মাঝখানে দেখা যায়।
জেনে নিই
প্রধান বিচাপতি
সি্পিকার
প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কয়েক ধরনের পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ব্যক্তি বিশেষ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। উল্লখযোগ্য কিছু পুরস্কার নিম্নরূপ-
স্বাধীনতা পদক
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার। পুরস্কারটি প্রবর্তন করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। প্রথম স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে (২৬শে মার্চ) এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (সরকার কর্তৃক নির্ধারিত) গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ ১০ জনকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
একুশে পদক
বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে ১৯৭৬ সাল থেকে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রবর্তন করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান । প্রথম একুশে পদক প্রদান করা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে।
বাংলা একাডেমী পুরস্কার
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার। এটি প্রবর্তন করা হয় ১৯৬০ সালে। বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ পুরস্কার শুধু ব্যক্তিবিশেষকে দেওয়া হয়। শিশু একাডেমী পুরস্কার শিশুসাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বছরে একজন সাহিত্যিককে এ পুরস্কার প্রদান করে। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পুরস্কার চালু করা হয়। মরণোত্তর পুরস্কার হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়ার বিধান নেই।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার
চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সরকার ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এটি প্রবর্তন করা হয় ১৯৭৬ সালে। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটি প্রবর্তন করা হয় ১৯৭৬ সালে।
রবীন্দ্র পুরস্কার
বাংলা একাডেমী ২০১০ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীতের চর্চা এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
নজরুল পুরস্কার
ইনস্টিটিউট ২০২২ সালে নজরুল পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। কবি নজরুল ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা এবং নজরুলগীতির বিকাশে অবদানের জন্য প্রতিবছর ব্যক্তিবিশেষকে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।
Read more